টানা তিনদিন জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি
ভোট মিটতেই জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বমুখী মূল্যে ফের নাজেহাল দেশবাসীর। বাংলা-সহ চার রাজ্য এবং এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর গত মঙ্গলবার থেকেই চড়তে শুরু করেছে পেট্রল-ডিজেটেল দাম। এই নিয়ে টানা তিনদিন বাড়ল দাম।এবার বিভিন্ন শহরে একলাফে ২০ থেকে ৩০ পয়সা বাড়ল জ্বালানি তেলের মূল্য। অর্থাৎ হিসেব বলছে, তিনদিনের মধ্যে ৪০-৫০ পয়সা পেট্রলের লিটারপ্রতি মূল্যবৃদ্ধি হল। ডিজেল লিটার পিছু বাড়ল ৫০-৬০ পয়সা। যা নিঃসন্দেহে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে আমজনতার কপালে। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, রাজধানী দিল্লিতে যেমন ২৫ পয়সা বেড়ে লিটারপ্রতি পেট্রলের দাম হল ৯০.৯৯ টাকা। বৃহস্পতিবার ডিজেলের মূল্য বেড়ে হয়েছে ৮১.৪২ টাকা। বুধবারই যা ছিল ৮১.১২ টাকা। কলকাতায় এক লিটার পেট্রলের দাম ৯০.৯২ টাকা থেকে বেড়ে (২২ পয়সা) হল ৯১.১৪ টাকা। আজ সকাল ৬টা থেকে এক লিটার ডিজেলের জন্য খরচ করতে হবে ৮৪.২৬ টাকা (২৮ পয়সা)।এদিকে মুম্বইয়ে ফের আকাশছোঁয়া জ্বালানি তেলেন দাম। ২২ পয়সা বেড়ে লিটারপিছু পেট্রলের দাম গিয়ে পৌঁছল ৯৭.৩৪ টাকায়। বাণিজ্যনগরীতে লিটারপ্রতি ৩০ পয়সা বাড়ল ডিজেলের মূল্য। ৮৮.৪৯ টাকায় মিলবে এক লিটার ডিজেল। চেন্নাইয়ের বাসিন্দাদের এক লিটার পেট্রল ও ডিজেলের জন্য এখন দিতে হবে ৯২.৯০ এবং ৮৬.৩৫ টাকা।বিশ্বজুড়ে করোনার দাপটে একধাক্কায় অনেকটা কমেছে জ্বালানি তেলের চাহিদা। যার জেরে অপরিশোধিত তেলের দামও নিম্নমুখী। গত বছরও করোনার কোপ আর লকডাউনের জেরে পেট্রল-ডিজেলের আমদানি কমিয়ে ফেলেছিল ভারত। এবছরও নতুন করে মারণ ভাইরাসের চোখ রাঙানির কারণে ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। পূর্ণ ও আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে একাধিক শহর। ফলে চাহিদা কমছে পেট্রল-ডিজেলের। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভোট শেষ হতেই দেশে এই নিয়ে তৃতীয় দিন পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ায় ফের সমালোচনায় বিদ্ধ কেন্দ্র সরকার।